আইন বিভাগ
- আইন বিভাগের কাজ আইন প্রণয়ন, আইন সংশোধন, আইন পরিবর্তন করা।
- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইংরেজি নাম- Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs
- বাংলাদেশের আইনসভার নাম - জাতীয় সংসদ (House of the Nation)।
- জাতীয় সংসদের ১নং আসন- পঞ্চগড় জেলায় এবং ৩০০নং আসন- বান্দরবান জেলায় অবস্থিত।
- ঢাকা জেলায় জাতীয় সংসদের আসন সবচেয়ে বেশি- ২০টি।
- ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জাতীয় সংসদের আসন আছে- ১৫টি।
- সবচেয়ে কম আসন (১টি করে) রয়েছে- তিন পার্বত্য জেলায়।
- আইন প্রণয়নের পদ্ধতি ২টি- জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারি ।
- দেশের নীতি নির্ধারণের জন্য সর্বোচ্চ পরিষদ হলো- ক্যাবিনেট বা মন্ত্রিসভা।
- বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রতীক- শাপলা।
সংসদের অধিবেশন
- সংবিধানের ৭২ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক অধিবেশন আহ্বান করেন- রাষ্ট্রপতি |
- অধিবেশন আহ্বান করা হয়- সংসদ সদস্যদের যেকোন সাধারণ নির্বাচন ঘোষিত হবার ৩০ দিনের মধ্যে।
- দুই বৈঠকের মধ্যে ৬০ দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকবে না।
- প্রথম বৈঠকের পর ৫ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে।
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ
- প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশনের সূচনায় সংসদে ভাষণ প্রদান করবেন।
- প্রত্যেক বছর প্রথম অধিবেশনের সূচনায় রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ প্রদান করবেন। (৭৩ নং অনুচ্ছেদ)।
সংসদে স্থায়ী কমিটি
- সংসদে স্থায়ী কমিটির সংখ্যা ৫০টি।
- মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ৩৯টি।
- সংসদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ১১টি ।
বিদেশি অতিথি
জাতীয় সংসদে এ পর্যন্ত ২ জন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বক্তৃতা প্রদান করেছেন
- যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি মার্শাল যোশেফ টিটো (১৯৭৩)
- ভারতের প্রেসিডেন্ট ভারাহগিরি ভেঙ্কট গিরি (১৯৭৪)
ওয়াক আউট
- বিরোধী দলের সদস্যদের সরকারি যাবার ঘটনাকে বলে ওয়াক আউট। কোন সিদ্ধান্ত বা স্পিকারের রুলিং এর প্রতিবাদে সংসদ থেকে বের হয়ে
- সরকারি দলের সদস্যরাও ওয়াক আউট করতে পারেন।
- সংসদীয় গণতন্ত্রে ওয়াক আউট সদস্যদের অধিকার বলে স্বীকৃত।
সংসদ বর্জন
- বিরোধী দলের আন্দোলনের ভিত্তিতে সংসদের অধিবেশন বর্জন করতে পারেন।
- সংসদ সদস্যগণ সুনির্দিষ্ট দাবীতে অথবা স্পিকারের কোন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের প্রতিবাদে সাময়িকের জন্য সংসদ হতে বের হয়ে যেতে পারেন।
ফ্লোর ক্রসিং
- ফ্লোর ক্রসিং হলো নিজ দলের বিপক্ষে ভোটদান বা অন্য দলে যোগদান।
- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফ্লোর ক্রসিং করলে সেই সংসদ সদস্যের পদ শূন্য হয়ে যায়।
ট্রেজারি বেঞ্চ
- সংসদ কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে বলা হয়- ট্রেজারি বেঞ্চ বা ফ্রন্ট বেঞ্চ।
- সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ সামনের সারিতে বসেন।
- স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ।
- স্পিকারের এর বিপরীত দিকে সামনের সারিতে বসেন বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা, হুইপ ও অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ।
বিল
- আইন প্রণয়নের জন্য সংসদে উত্থাপিত খসড়াকে বলে- বিল।
- বিল দুই ধরনের হয়- সরকারি বিল ও বেসরকারি বিল।
- সরকারি বিল উত্থাপন করেন মন্ত্রীগণ (অনুমোদন- ৭ দিন প্রয়োজন)।
- বেসরকারি বিল উত্থাপন (১৫ দিন প্রয়োজন) করেন উত্থাপন জাতীয় সাংসদগণ ।
- বেসরকারি বিল উত্থাপিত হয় শুধু বৃহস্পতিবারে।
চিফ হুইপ
- সংসদের চিফ হুইপের মর্যাদা একজন পূর্ণ মন্ত্রীর সমান।
- হুইপ দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী।
- জাতীয় সংসদের প্রথম চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বর্তমান চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
কাস্টিং ভোট
- স্পিকারের নিজের প্রদেয় ভোটকে বলে কাস্টিং ভোট।
আইন বিভাগ
- আইন বিভাগের কাজ আইন প্রণয়ন, আইন সংশোধন, আইন পরিবর্তন করা।
- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইংরেজি নাম- Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs
- বাংলাদেশের আইনসভার নাম - জাতীয় সংসদ (House of the Nation)।
- জাতীয় সংসদের ১নং আসন- পঞ্চগড় জেলায় এবং ৩০০নং আসন- বান্দরবান জেলায় অবস্থিত।
- ঢাকা জেলায় জাতীয় সংসদের আসন সবচেয়ে বেশি- ২০টি।
- ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জাতীয় সংসদের আসন আছে- ১৫টি।
- সবচেয়ে কম আসন (১টি করে) রয়েছে- তিন পার্বত্য জেলায়।
- আইন প্রণয়নের পদ্ধতি ২টি- জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারি ।
- দেশের নীতি নির্ধারণের জন্য সর্বোচ্চ পরিষদ হলো- ক্যাবিনেট বা মন্ত্রিসভা।
- বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রতীক- শাপলা।
- সংবিধানের ৭২ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক অধিবেশন আহ্বান করেন- রাষ্ট্রপতি |
- অধিবেশন আহ্বান করা হয়- সংসদ সদস্যদের যেকোন সাধারণ নির্বাচন ঘোষিত হবার ৩০ দিনের মধ্যে।
- দুই বৈঠকের মধ্যে ৬০ দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকবে না।
- প্রথম বৈঠকের পর ৫ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- সংসদে স্থায়ী কমিটির সংখ্যা ৫০টি।
- মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ৩৯টি।
- সংসদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ১১টি ।
- বিরোধী দলের সদস্যদের সরকারি যাবার ঘটনাকে বলে ওয়াক আউট। কোন সিদ্ধান্ত বা স্পিকারের রুলিং এর প্রতিবাদে সংসদ থেকে বের হয়ে
- সরকারি দলের সদস্যরাও ওয়াক আউট করতে পারেন।
- সংসদীয় গণতন্ত্রে ওয়াক আউট সদস্যদের অধিকার বলে স্বীকৃত।
- বিরোধী দলের আন্দোলনের ভিত্তিতে সংসদের অধিবেশন বর্জন করতে পারেন।
- সংসদ সদস্যগণ সুনির্দিষ্ট দাবীতে অথবা স্পিকারের কোন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের প্রতিবাদে সাময়িকের জন্য সংসদ হতে বের হয়ে যেতে পারেন।
- ফ্লোর ক্রসিং হলো নিজ দলের বিপক্ষে ভোটদান বা অন্য দলে যোগদান।
- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ফ্লোর ক্রসিং করলে সেই সংসদ সদস্যের পদ শূন্য হয়ে যায়।
- সংসদ কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে বলা হয়- ট্রেজারি বেঞ্চ বা ফ্রন্ট বেঞ্চ।
- সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ সামনের সারিতে বসেন।
- স্পিকারের আসনের ডানদিকে থাকে ট্রেজারি বেঞ্চ।
- স্পিকারের এর বিপরীত দিকে সামনের সারিতে বসেন বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা, হুইপ ও অন্যান্য নেত্রীবৃন্দ।
- আইন প্রণয়নের জন্য সংসদে উত্থাপিত খসড়াকে বলে- বিল।
- বিল দুই ধরনের হয়- সরকারি বিল ও বেসরকারি বিল।
- সরকারি বিল উত্থাপন করেন মন্ত্রীগণ (অনুমোদন- ৭ দিন প্রয়োজন)।
- বেসরকারি বিল উত্থাপন (১৫ দিন প্রয়োজন) করেন উত্থাপন জাতীয় সাংসদগণ ।
- বেসরকারি বিল উত্থাপিত হয় শুধু বৃহস্পতিবারে।
- সংসদের চিফ হুইপের মর্যাদা একজন পূর্ণ মন্ত্রীর সমান।
- হুইপ দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী।
- জাতীয় সংসদের প্রথম চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং বর্তমান চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- বাংলাদেশ দণ্ডবিধি প্রণীত হয়- ১৮৬০ সালে।
- ১৪৪ ধারা সর্বাধিক পরিচিত- ফৌজদারী কার্যধারা।
- দেশের ফৌজদারী কার্যবিধি প্রণীত হয়- ১৮৯৮ সালে।
- বাংলাদেশে “বিশেষ ক্ষমতা আইন” প্রণীত হয়- ১৯৭৪ সালে।
- ১৯৭৪ সালের শিশু আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের শিশুদের বয়স ১৬ বছর।
- দেশের আইনানুযায়ী নারী ও পুরুষের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স- ১৮ ও ২১ বছর।
- বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন পাস হয়- ২০০০ সালে ।
- দ্রুত বিচার আইন প্রবর্তিত হয়- ২০০২ সালে ।
- বাংলাদেশে ধূমপান বিরোধী আইনে সর্বোচ্চ অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে- ৫০ টাকার।
- গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করা হয়- ২০০৮ সালে।
- বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইন পাস হয়- ২৯ মার্চ, ২০০৯ সালে।
- গ্রাম/পল্লী আদালত গঠিত হয়- ৫ জন সদস্য নিয়ে।
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হয়- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ খ্রি.।
- EVM- Electronic Voting Machine চালু হয় ১৯৬০ সালে; যুক্তরাষ্ট্রে ।
- এসিড নিক্ষেপজনিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের লক্ষ্যে গৃহীত অপরাধ দমন আইন পাস হয়- ২০০২।
- বাংলাদেশের আইনে এসিড নিক্ষেপকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি- মৃত্যুদণ্ড।
- অবৈধ অর্থ ব্যবহার ও লেনদেন রোধে যে আইনটি ব্যবহার হয়- মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন আইন ।
- যে নীতি অনুসারে পিতা- মাতার নাগরিকত্বের ভিত্তিতে সন্তানের নাগরিকত্ব নির্ধারিত হয়- জন্মনীতি।
জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। এককক্ষ বিশিষ্ট এ আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০; যার মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত হন ৩০০ সংসদ সদস্যের ভোটে (পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে) নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর।
জেনে নিই
- বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা জাতীয় সংসদ।
- সংসদের মোট আসন- ৩৫০ টি হলেও নির্বাচিত আসন- ৩০০ টি।
- সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন- ৫০ টি।
- সংসদের ১নং আসন- পঞ্চগড়।
- সংসদের ৩০০ নং আসন- বান্দরবান
- সবচেয়ে কম মেয়াদকাল ছিল- ৬ষ্ঠ সংসদে।
- সংসদে কাস্টিং ভোট- স্পীকারের নিজের ভোট।
- সংসদে হুইপের কাজ- দলীয় শৃংখলা রক্ষা করা।
- ফ্লোর ক্রসিং- সংসদে অন্য দলে যোগদান বা নিজ দলের বিপক্ষে ভোটদান।
- রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি প্রতিটিতে ১টি করে জাতীয় সংসদের আসন বিদ্যমান।
- জাতীয় সংসদে এ পর্যন্ত বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান ভাষণ দেন- ২ জন ।
যুগোশ্লোভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্শাল যোশেফ টিটো (১৯৭৪)
ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভি ভি গিরি (১৯৭৪)
- দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম স্থাপত্যশৈলী ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবন ।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান
যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান
শ্রীলংকার রাষ্ট্রপ্রধান
ভুটানের রাষ্ট্রপ্রধান
- প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতা তার নামে প্রযুক্ত হয় এবং তিনি দায়মুক্ত থাকেন ।
- প্রয়োজনে অধ্যাদেশ (Ordinace) জারি করেন।
- জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহবান, মূলতবি, স্থগিত ও সংসদ ভেঙ্গে দেয়া এখতিয়ার রাখেন।
- সংসদ কর্তৃক গৃহীত বিলে সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করতে হয়।
- সরকার প্রধান ও নির্বাহী ক্ষমতার মালিক।
- প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের নেতা।
- জাতীয় সংসদের সর্বাত্মক বিধি অনুযায়ী শৃংখলা রক্ষা করা এবং দলীয় ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত কর্তব্য।
- জাতীয় সংসদ বা আইনসভার সভাপতি।
- নিয়মিত অধিবেশন বিল উত্থাপন ও আলোচনার সুযোগ করে দেন।
- প্রয়োজনে কাস্টিং ভোট প্রদান করার ক্ষমতা রয়েছে।
- সংসদীয় কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- স্পীকারকে অধিবেশন পরিচালনায় সহযোগিতা করা।
- স্পীকারের অনুপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের সভাপতিত্ব করা।
- সংসদীয় স্থায়ী লাইব্রেরী কমিটির সভাপতি।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
বাংলাদেশের আইনবিভাগ, শাসনবিভাগ ও বিচারবিভাগের সকল শাখার আনুষ্ঠানিক প্রধান এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (কমান্ডার ইন চিফ)। রাষ্ট্রপতির দণ্ডিত ব্যক্তির দণ্ডাদেশ স্থগিত, হ্রাস বা দণ্ডিতকে ক্ষমা করার অধিকার রয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হওয়ার পূর্বে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন। রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর।
জেনে নিই
- বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি- এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ (২০ তম)।
- সদীয় পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপ্রধান- রাষ্ট্রপতি।
- রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়- রাষ্ট্রপতির নামে।
- সংসদ অধিবেশনের আহবান করেন- রাষ্ট্রপতি ।
- রাষ্ট্রপতি হতে বয়স লাগবে কমপক্ষে ৩৫ বছর।
- সংসদ অধিবেশন আহ্বান ও মূলতবী ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি।
- রাষ্টপতির শপথ বাক্য পাঠ করান স্পীকার।
- বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম কার নামে পরিচালিত হয় - রাষ্ট্রপতির নামে।
- রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ পত্র পেশ করবেন- স্পিকার বরাবর।
- অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন- রাষ্ট্রপতি।
- রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতে দায়িত্ব পালন করবেন- স্পিকার।
- আদালতের কোন এখতিয়ার নেই- রাষ্ট্রপতির উপর।
- রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা যায়- অভিশংসন (Impeachment) এর মাধ্যমে।
- অধ্যাদেশ হলো- বিশেষ আইন, রাষ্ট্রপতি নিজে যে আইন জারি করেন।
- বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান।
- বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানিক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
- জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি - ৩ জন
- জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি হন- জিয়াউর রহমান।
- সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী।
- সরকারের নির্বাহী বিভাগের মধ্যমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
- মন্ত্রী পরিষদের প্রধান প্রধানমন্ত্রী।
- মন্ত্রী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
- জাতীয় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী।
- বাংলাদেশ সরকারের প্রধান নির্বাহী প্রধানমন্ত্রী।
- জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী
- প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেন- রাষ্ট্রপতি [৫৬(৩) অনুচ্ছেদ]।
- বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ।
- বাংলাদেশের প্রথম সাংবিধানিক প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান।
- বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অবস্থান - তেজগাঁও, ঢাকা।
- প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের নাম- গণভবন (শের-ই-বাংলা নগর)।
বাংলাদেশে ৩ বার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২ বার অনুষ্ঠিত হয় প্রশাসনিক গণভোট এবং ১ বার অনুষ্ঠিত হয় সাংবিধানিক গণভোট।
প্রথম গণভোট
- প্রশাসনিক গণভোট হয় ১৯৭৭ সালে।
- প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসন কার্যের বৈধতা দান।
- ফলাফল ৯৮.৮০% 'হ্যাঁ' ভোট।
দ্বিতীয় গণভোট
- প্রশাসনিক গণভোট ১৯৮৫ সালে ।
- হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সমর্থন যাচাইয়ের লক্ষ্যে হ্যাঁ-না ভোট।
- ফলাফল ৯৪.১৪% হ্যাঁ ভোট।
তৃতীয় গণভোট
- সাংবিধানিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়- ১৯৯১ সালে।
- সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী আইন প্রস্তাব।
- ফলাফল ৮৪.৩৮% হ্যাঁ ভোট।
বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন
- প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন- ৭ মার্চ, ১৯৭৩ সালে।
- প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন- ৩ জুন, ১৯৭৮ সালে ।
- প্রথম গণভোট- ৩০ মে, ১৯৭৭ সালে ।
- প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন- ১৯৯১ সালে।
- প্রথম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন- ১৯৯৪ সালে।
- প্রথম উপজেলা নির্বাচন- ১৯৮৫ সালে।
- প্রথম পৌরসভা নির্বাচন- ১৯৭৩ সালে।
- প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন- ১৯৭৩ সালে।
জেনে নিই
- প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়- ৭ মার্চ, ১৯৭৩ সালে
- প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট আসন ছিল- ৩১৫ টি।
- তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন হয়- ১৯৯১ সালে ।
- প্রথম প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন- বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
- তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে মোট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়- ৪টি (১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮) সালে।
- সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন হয়- ১৯৯৬ সালে।
- প্রথম সাংবিধানিক প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন- বিচারপতি হাবিবুর রহমান।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নিয়োগ দান করেন- রাষ্ট্রপতি।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার কাজের জন্য দায়ী- রাষ্ট্রপতির কাছে।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদকাল ছিল ৯০ দিন বা তিন মাস।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়- পঞ্চদশ সংশোধনীতে (২০১৫)।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- নির্বাহী বিভাগ হতে আলাদা করে স্বাধীন বিচার বিভাগ পৃথক প্রক্রিয়া করা হয় ১ নভেম্বর, ২০০৭ সালে
- প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়োগ প্রদান করেন- মহামান্য রাষ্ট্রপতি।
- সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির অবসরের বয়সসীমা ৬৭ বছর।
- বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের নাম- সুপ্রিম কোর্ট।
- সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন- ১টি, ঢাকায়।
- সুপ্রিম কোর্টের ২টি বিভাগ- হাইকোর্ট ও আপীল বিভাগ।
- কোর্ট অব রেকর্ড বলা হয়- সুপ্রিম কোর্টকে।
- জেলা জজ হলেন- জেলা আদালতের প্রধান বিচারক।
পারিবারিক আদালতের অধিক্ষেত্রগুলো-
- দেনমোহরানা, ভরণ-পোষণ
- দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার
- বিবাহ বিচ্ছেদ
- অভিভাবকত্ব ও শিশুদের তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত মামলা।
- BPSC-Bangladesh Public Service Commission
- সরকারি কর্ম কমিশন একটি- সাংবিধানিক স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান ।
- সরকারি কর্ম কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান- সোহরাব হোসাইন (১৩ তম)।
- PSC প্রধানকে নিয়োগদান করেন- রাষ্ট্রপতি।
- সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে কর্ম কমিশনের কথা বলা আছে।
- কমিশনের সদস্যগণের পদমর্যাদা- সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমান।।
- প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন- ড. এ. কিউ. এম. বজলুল করিম।
- সাবেক পূর্ব পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠিত হয়- ১৯৪৭।
- উপমহাদেশে প্রথম সরকারি কর্মকমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯২৬ সালে।
- বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন অবস্থিত- পুরাতন বিমান বন্দর, তেজগাঁও
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- দুর্নীতি দমন কমিশন আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়- ২০০৪ সালে।
- কার্যালয়- ঢাকার সেগুনবাগিচা।
- দুর্নীতি দমন কমিশনকে সংক্ষেপে দুদক বলা হয়।
- দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হয়- দুর্নীতি দমন ব্যুরো এর পরিবর্তে।
- সদস্যদের পদমর্যাদা- হাইকোর্টের বিচারপতির সমান।
- স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন এর অধীন প্রথম মামলা হয়- বরিশালে।
- একজন চেয়ারম্যান ও দুইজন কমিশনার নিয়ে দুদক কমিশন গঠিত হয়।
- দুর্নীতি দমন কমিশন এর প্রথম চেয়াম্যান- বিচারপতি সুলতান হোসেন খান।
- বর্তমান চেয়ারম্যান- মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ (৭ম)।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়- ১৯৭২ সালে।
- কাজ- নির্বাচন পরিচালনা। মেয়াদ- ৫ বছর।
- সংবিধানের যে অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত হয়- ১১৮ নং অনুচ্ছেদ।
- নির্বাচন কমিশন একটি স্বতন্ত্র, নিরপেক্ষ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন- রাষ্ট্রপতি ।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ- ১৫ বছর।
- বাংলাদেশের নির্বাচনী আচরন বিধিমালা প্রণীত হয়- ১৯৯৬ সালে।
- দেশের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন- বিচারপতি এম ইদ্রিস
- ছবিসহ ভোটার তালিকা বা জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী কর্মসূচির নাম ছিল- অপারেশন নবযাত্রা।
ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার শর্তাবলী:
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
- প্রয়োজন মোতাবেক অপ্রকৃতিস্থ নয় বলে আদালত কর্তৃক ঘোষিত হতে হবে।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
Read more